১৯৬৫ সালের ৫ই জুলাই এক সরকারী আদেশের মাধ্যমে নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠিত হয়। জন্মলগ্ন থেকেই নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর দেশের ছোট, বড়, মাঝারি শহর, নগর বন্দর ও শিল্প এলাকা সমূহের ল্যান্ড ইউজ/মাষ্টার প্ল্যান প্রণয়নের মাধ্যমে শহর এলাকার ভুমির পরিকল্পিত ব্যবহারের দিক নির্দেশনা প্রদান করে আসছে যা অত্র এলাকা সমূহের জনসাধারনের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ অবদান রাখছে। মার্শাল ল’কমিটির রিপোর্ট ১৯৮৩ অনুসারে নগর উন্নয়ন অধিদপ্তরের কার্যাবলী নিম্নরুপঃ
(১) নগরায়ন, নগর এলাকার ভুমির সুষ্ঠু ব্যবহার ও ভূমি উন্নয়ন বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ প্রদান করা।
(২) দেশের ৪টি মেট্টোপলিটন সিটি যথাঃ- ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও রাজশাহী বাদে সকল নগর এলাকার মাষ্টার প্ল্যান প্রণয়ন, নগর এলাকার অভ্যন্তরে এলাকাভিত্তিক বিস্তারিত ভূমি ব্যবহার নক্শা ও অঞ্চলভিত্তিক প্ল্যান প্রণয়ন ও সমন্বয় সাধন করা।
(৩) নগরায়ন প্রক্রিয়ায় আর্থ-সামাজিক বিষয়ে গবেষণা করা ও ভবিষ্যতে নগর উন্নয়নের ক্ষেত্রে দেশব্যাপী নগর উন্নয়ন সংক্রান্ত স্থান নির্ণয় করা।
(৪) নগরায়ন কর্মসূচী প্রণয়ন করা এবং এই কর্মসূচী সংশ্লিষ্ট সেক্টর এজেন্সীগুলোর উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের স্থান নির্ধারনে সহযোগীতা করা।
(৫) মানব বসতি উন্নয়ন পরিকল্পনাকারী প্রতিষ্ঠান হিসাবে নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর আন্তর্জাতিক কারিগরী সহযোগীতা বিষয়ক কর্মসূচী বাস্তবায়নে দেশের ফোকাল পয়েন্ট ও প্রতিরূপ সংস্থা হিসেবে কার্যাদি সম্পাদন করা।
(৬) ভৌত পরিকল্পনা এবং নগরায়ন ও মানববসতি সংক্রান্ত বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে সেমিনার এবং ওয়ার্কশপের আয়োজন করা এবং নগরায়ন ও মানববসতি সংক্রান্ত গবেষণালব্ধ বিষয় সম্পর্কে প্রকাশনা বের করা।
(৭) পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিষয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ইন-সার্ভিস প্রশিক্ষণ প্রদান করা।
(৮) নগর উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ/ সংস্থাসমূহকে তাদের অনুরোধক্রমে পরামর্শ প্রদান করা।
তাছাড়া নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর কেন্দ্রীয় ভূমি বরাদ্দ কমিটির এখতিয়ারভূক্ত নিম্ন লিখিত থানা যথাঃ কোতয়ালী, লালবাগ, রমনা, সূত্রাপুর, মতিঝিল, কেরাণীগঞ্জ, ধানমন্ডি, তেজগাঁও, গুলশান, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, টংগী, রুপগঞ্জ, ক্যান্টনমেন্ট, সাভার, জয়দেবপুর, নারায়ণগঞ্জ, ফতুল্লা/বন্দর, সিদ্দিরগঞ্জ, নরসিংদী এবং ডেমরায় (১৯৮০ ইং সনের পর উল্লিখিত থানা বিভক্ত হয়ে কোন নতুন থানা সৃষ্টি হলে কিংবা ভবিষ্যতে আরো বিভক্ত হলে উক্ত থানা এলাকাও অন্তর্ভূক্ত হবে) জমি অধিগ্রহণের জন্য সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্ত্বশাসিত সংস্থা কর্তৃক চাহিত ভূমির পরিকল্পিত ব্যবহার বিষয়ে পরিক্ষা-নিরীক্ষা পূর্বক অনাপত্তিপত্র প্রদান করে থাকে। নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর নিজস্ব সীমিত জনবল এবং আর্থিক সামর্থ্যের মাধ্যমে ভৌত পরিকল্পনা ও গবেষনামূলক কর্মকান্ডের দ্বারা দেশের উন্নয়নে অবদান রেখে চলছে।